বিপজ্জনক বাহারি খাবার
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বাহারি খাবার থেকে খুবই সতর্ক থাকা দরকার এই রোজার মাসে। কারণ, খাবার আকর্ষনীয় করে তুলতে মেশানো হচ্ছে রং। মেশানো হচ্ছে- স্টার্ট মেটানিল ইয়োলো, রেড ক্রোমেটের মতো পদার্থ। যা থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে বিষ। লোভনীয় রং ডেকে আনতে পারে মারণ ক্যানসার। এমনকি, ক্ষতি করতে পারে লিভার এবং কিডনির। হতে পারে মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং গর্ভপাতও। তাই ‘মারণ’ রঙিন খাবার থেকে দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের।
এই সমস্ত রং খাবারে ব্যবহারের উপযোগী নয়, বরং মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই রং মিশ্রিত খাবার বেশিদিন খেলে জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
একবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভেজাল-বিরোধী প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই চা-পাতায় ব্যবহৃত চা পাতা শুকিয়ে রং করে মেশানো হয়। কফির সঙ্গে ভেজাল দেওয়া হয় চিকরির গুঁড়া। ছানা, পনির, ছানার তৈরির মিষ্টিতে মেশানো হয়ে থাকে স্টার্চ।
এমন কী তাদের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, গোটা বা গুঁড়া হলুদ এবং বিভিন্ন মিশ্র মশলার গুড়াতে মেশানো হচ্ছে লেড ক্রোমেট। লাড্ডু, দরবেশ, মিহিদানা, আমৃতি, জিলাপি, তেলেভাজা, বিরিয়ানি, পোলাও আকর্ষনীয় করে তুলতে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং মেটালিন ইয়োলো। চিনির নানা সামগ্রী বানাতে মেশানো হচ্ছে ‘রোডামিন-বি’ জাতীয় রং।
বলা হয়, ভোজ্য তেলের প্যাকেটে সুপার রিফাইন্ড, মাইক্রো রিফাইন্ড, ডবল রিফাইন্ড, আলট্রা রিফাইন্ড, কোলেস্টেরল মুক্ত এসব লেখা বেআইনি। ফলের রস স্কোয়াস কোমল পানীয়তে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলের রস না থাকে, তবে তা ফলের রস বলা যাবে না এবং তা পরিস্কার করে ঘোষণা করতে হবে। মোড়কের গায়ে ফলের ছবিও রাখা যাবে না।
কোন খাবারে কী ভেজাল এবং তাতে কী রোগ হতে পারে, এখানে তার একটি ধারণা দেওয়া হলো-
গুঁড়া হলুদ, মশলায় মেশানো হয় লেড ক্রোমেট। এতে রক্ত স্বল্পতা, পক্ষাঘাত, গর্ভপাত ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। লাড্ডু, মিহিদানা, জিলাপিতে মেশানো হয় মেটানিল ইয়োলো। এতে ক্যানসার, পাকস্থলির যন্ত্রণা, অন্ডকোষে সংক্রমণ হতে পারে। মিষ্টিতে মেশানো হয় রোডমিন বি। এতে ক্ষতি হতে পারে কিডনি, লিভার, স্পিনের।
ভেজাল খাবার চেনার উপায়- চা পাতা ঠান্ডা পানিতে ভেজানোর পর যদি রং ছাড়ে, তবে বুঝতে হবে রং করা হয়েছে। বিশুদ্ধ চা-পাতা গরম পানিতে রং ছাড়ে, ঠান্ডা পানিতে নয়। কফি গুঁড়া এক কাপ পানিতে অল্প করে ছাড়লে, চিকরির গুঁড়া গুলে যাবে, কফি গুঁড়া ভাসবে।
কয়েক ফোঁটা আয়োডিন দ্রবণ দিলে, ছানা-পনির- মিষ্টির রং বেগুনি হলে বুঝতে হবে স্টার্চ মেশানো হয়েছে। কয়েক ফোঁটা মিউরিক অ্যাসিড দিলে খাদ্যবস্তুর রং বেগুনি হলে, বুঝতে হবে মেটানিল মেশানো হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর